আর কে ওসমান আলী, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দিনাজপুরের বিরামপুরে বাড়তি ভাড়া আদায় করছেন দিনাজপুর জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের বিরামপুরের চেইন মাস্টার, তিনি টিকিট প্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা করে বাড়তি ভাড়া আদায় করছেন।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দীর্ঘদিন ধরে অর্ধেক যাত্রী ও ৬০ শতাংশ বেশি ভাড়া নিয়ে চলাচল করতো গণপরিবহন। সাধারণ যাত্রী ও বিভিন্ন সংগঠনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ১ সেপ্টেম্বর থেকে আবার আগের ভাড়ায় গণপরিবহন চালানোর নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু দিনাজপুরের বিরামপুরে দিনাজপুর- বগুড়া লাল পতাকা মেইল এর টিকিট কাউন্টারে অধিকাংশ নির্দেশ মানা হচ্ছে না। আসন সংখ্যার চেয়ে বেশি যাত্রী ও বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে বিরামপুরের এই কাউন্টারে।
রবিবার ২৭ সেপ্টেম্বর সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, একটি বাস একই স্থানে ১৫ মিনিট ধরে দাড়িয়ে আছে, সিট ভর্তি না হলে নাকি বাস ছাড়বে না অথচ বাসের সিট প্রায় ফুল। গাড়িতে যত অতিরিক্ত যাত্রী দিতে পারবে এই চেইন মাস্টারের ততই লাভ। তাছাড়া বাসস্ট্যান্ডে নেই কোনো স্বাস্থ্যবিধি ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা করে এই চেইন মাস্টার ।
নাম প্রকাশের অনইচ্ছুক একজন যাত্রী বলেন, বিরামপুর থেকে ভাদুরিয়া বাজারে যাওয়ার জন্য একটা টিকিট নিলাম টিকিটের মূল্য আমার থেকে ৩০ টাকা নিলো অথচ বিরামপুর থেকে ভাদুরিয়া বাজারে যাওয়ার ভাড়া ২০ টাকা। কেন বেশি টাকা নেওয়া হচ্ছে, তা জানতে চাইলে চেইন মাস্টার বলেন, যাত্রী কম থাকায় ভাড়া বেশি নিচ্ছি। আমার কথা হচ্ছে, যেহেতু আগের ভাড়ায় বাস চলার কথা, তাহলে কেন বেশি টাকা নেওয়া হবে? প্রশাসনের উচিত এসব তদারকি করা।’
অপর দিকে, গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মানার উপায় নেই। সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম দিন থেকেই গণপরিবহনে বাড়তি ভাড়া বাদ দিয়ে আগের মতো স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্ত রাখা হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা মানা হচ্ছে না। চালক, শ্রমিক, যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্বাস্থ্যবিধি মানার ‘উপায় নেই’ তাদের। বিশেষ করে অতিরিক্ত যাত্রী না তোলার বিষয়টি কড়াকড়িভাবে পালনের নির্দেশ থাকলেও যাত্রী-শ্রমিক কেউ তা মানছেন না।
কোনো পরিবহনে শ্রমিকরা জোর করে অতিরিক্ত যাত্রী তুলছেন বাসে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক হলেও কেউ কেউ তা মানছেন না দেখা গেছে।
এ ব্যপারে বিরামপুর দিনাজপুর সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের বিরামপুরের চেইন মাস্টারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি কোনো কিছুই বলেনি।বাসের হেল্পারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, কাউন্টার যদি টাকা বেশি নেই আমরা কি করবো আমাদের কোনো কিছুই করার নেই।
বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিমল কুমার সরকার বলেন, সড়কে কোনো গণপরিবহন যদি অতিরিক্ত যাত্রী ও বেশি ভাড়া নেয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তাছাড়া দিনাজপুর সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের বিরামপুর বাসস্ট্যান্ডের চেইন মাস্টার বিরুদ্ধে যদি বেশি ভাড়া নেওয়ার কেউ লিখিত অভিযোগ দেয় তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।