
জুবায়ের আহমেদ জীবন, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আবারও বন্যার আতঙ্কে নদী পাড়ের মানুষ। গত দু’দিন ধরে আকাশের গুড়িগুড়ি বৃষ্টিতে বন্যার আতঙ্কে দিন গুণছেন দিনাজপুরের আত্রাই নদী অঞ্চলের মানুষ।
করোনায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়া জনজীবনে আক্রান্ত হওয়ার শংকার সাথে উত্তরাঞ্চলের জনমনে বন্যার আশংকার তটস্থতা ছেয়ে বসেছে। গত ২০১৭ সালের আগষ্টের মাঝামাঝি সময়ে কালের ভয়াল বন্যার মুখোমুখি হয়েছিল উত্তর জনপদের মানুষ। কিছুদিন আগেও আবহাওয়া পূর্বাভাসজনিত খবরে এবছর দুইটি ভয়াল বন্যার আশংকার কথা শুনেছে এ জনপদের মানুষ। সেই শংকা থেকেই তারা তটস্থ হয়ে পড়েছে। কিন্তু তবুও থেমে নেই জনজীবন। এমন আশংকার কথা জানিয়ে ডেইলি দিনাজপুরকে এক কৃষক (৫০) বলেন, গতবেল্কার মতো যদি এইবারও বান আইস্যে তাহিলে তো হামরা কৃষকগিলা (গরিব) আরো অভাবত পড়িমো। জমিত বিছন (বীজ) ফেলাইছি, বানত ডুবি গেইলে তো আরো বিপদ। এমনিতে করুনা (করোনা) ভাইরাসের জন্য কাম- কামাই নাই তার উপর বান আসিলে তো নাখায়া মরিবার লাগিবে।
এদিকে আত্রাই নদী, গাবুরা নদী, বেলান নদী ও পূণর্ভবা নদী পরির্দশন করে দেখা যায়, নদীগুলো বর্ষার পানিতে প্রায় টইটম্বুর। গাবুরা নদী কিছুটা শান্তরীক্ষে থাকলেও বাকি নদীগুলোর পানির প্রবাহ স্রোত বেশ ভয়ানক। আত্রাই নদী ভুলে ফেঁপে ওঠায় সুন্দরবন গ্রামসহ গাবুরা নদীর বাঁধ (গাবুরা ও আত্রাই মিলনস্থল) বেশ হুমকিতে রয়েছে। স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ১৭’র বন্যাতেই এই বাঁধ ধ্বসে গিয়েছিল সেই সাথে ঠুটির ঘাট প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে গোষ্টের ডাঙ্গা কবরস্থান পর্যন্তু সড়ক ধ্বসে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল প্রায়। কিন্তু ভাগ্যক্রমে এই সড়ক রক্ষা পেলেও রক্ষা পায়নি গাবুরা বাঁধ।উল্লেখ্য, নদী ভাঙ্গনের ফলে প্রায় ত্রিশ একর আবাদি জমি বিলীন হয়েছে নদীতে। অদ্যাপি নদী ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে।