
মো: তাফিমুল ইসলাম :
দিনাজপুর জেলার সদর থানার দক্ষিনে অবস্থিত। শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দক্ষিনে।সদর থানার তাজপুর গ্রামে অবস্থিত এই মানবসৃষ্ট দীঘি। রামসাগরের তটভূমিসহ আয়তন ৪,৩৭,৪৯২ বর্গ মিটার,দৈর্ঘ্য ১,০৩১ মিটার,প্রস্থ ৩৬৪ মিটার। গভিরতা গড়ে প্রায় ১০ মিটার। পাড়ের উচ্চতা ১৩.৫ মিটার। দীঘিটির পশ্চিম পাড়ের মধ্যখানে একটি ঘাট ছিল যার কিছু আবশিষ্ট এখনো রয়েছে।বিভিন্ন আকৃতির বেলে পাথর দ্বারা নির্মিত ঘাটটির দৈঘ্য ও প্রস্থ ছিল ৪৫.৮ মিটার ও ১৮.৩ মিটার।
ইতিহাস ঘাটলে দেখাযায়, দিনাজপুরের বিখ্যাত রাজা রামনাথ (রজত্বকাল; ১৭২২ -১৭৬০ খ্রিস্টাব্দ) পলাশীর যুদ্ধের আগে (১৭৫০-১৭৫৫ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে) এই রামসাগর খনন করা হয়ে ছিল। তারই নাম আনুসারে এর নাম রাখা হয় রামসাগর ।দীঘিটি খনন করতে ত্যকালীন প্রায় ৩০,০০০ টাকা এবং ১৫,০০,০০০ শ্রমিকের প্রয়োজন হয়েছিল। ১৯৯৫-৯৬ সালে আধুনিক প্রর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলা হয়।২০০১ সালে ৩০ শে এপ্রিল এটিকে জাতীয় উদ্যান হিসাবে ঘোষনা করা হয়।
লোকেমুখে প্রচলিত আছে বিভিন্ন্ লোককথা। কথিত আছে ১৭৫০ খ্রিস্টাব্দে প্রচন্ড খড়া দেখা দিলে পানির আভাবে মৃত্যপ্রায় হয়ে পড়ে হাজার হাজার প্রজা। এসময় দয়ালু রাজা প্রাণনাথ স্বপ্নদেশ পেয়ে একটি পুকুর খনন করেন। মাত্র ১৫ দিনে এর খনন কাজ সম্পন্ন করা হয়। কিন্তু সেই পুকুর থেকে পানি না ওঠায় এক সাময় রাজা স্বপ্নে দৈববানী পেলেন যে, তাঁর একমাত্র পুত্রকে পুকুরে বলি দিলে পকুরে পানি ওঠবে।স্বপ্নাদিষ্ট রাজা, দীঘির মাঝখানে একটি মন্দির নির্মান করেন।তার পর এক ভোরে যুবরাজ রামনাথ সাদা পোষাকচ্ছদিত হয়ে হাতির পিঠে চরে যাত্রা করে দিঘির দিকে। দিঘির পাড়ের পোঁছে যুবরাজ রাম সিঁড়ি ধরে নেমে গেলের মন্দিরে। সঙ্গে সঙ্গে দিঘির তলা থেকে অঝোর ধারায় পানি উঠতে লাগল। চোখের পলকে যুবরাজ রামনাথ সহ পানিতে ভরে গেল বিশাল দিঘি।
জাতীয় উদ্যান ঘোষনা করার পর থেকে রামসাগরে শিশু পার্ক ও চিড়িয়াখানা গড়ে তুলা হয়। চিড়িয়াখানায় আজগর সাপ, বানর, নীল গাই, হরিণ ও বিভিন্ন পাখি প্রজাতির দেখতে পাওয়া যায়। রামসাগরের দাযিত্বরত কর্মকতা জানায় প্রায় প্রতিদিনেই এখানে দুইশ থেকে তিনশ দর্শনাথী রামসাগরে আসেন বেশিরভাগ দর্শনাথী আসে শীতকালে। তিনি আরো বলেন, যুদি রামসাগরকে আরো আধুনিক করা যেত তাহলে এখানে বেশি দর্শনার্থী আসতো। স্থানীয় বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম(৩২) বলেন, বনবিভাগের জনসক্তি কম বলে ভালোভাবে দেখভাল করতে পারে না । রামসাগরে ঘুরতে আসা আরেক দর্শনাথী বলেন, চিড়িয়াখানায় আরো বেশি পশু ও পাখি রাখলে ছেলে-মেয়েদেকে সপ্তাহে একদিন করে নিয়ে আসা যায়।
Post Views:
1,001
Order Propecia No Rx https://apcialisle.com/# – buy cialis without presc buy accutane online no prescription can you buy cialis online Keflex 500 Mg
I’m really impressed with your writing skills as well as
with the layout on your blog. Is this a paid theme or did you customize it yourself?
Either way keep up the nice quality writing, it is rare to see a nice blog like this one these days.
Like!! Great article post.Really thank you! Really Cool.